নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী।
নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে,
জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে।
মাতা ভগ্নী ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান,
কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি, সমীরণ, বারিবাহ।
পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ,
আঁধারে তোমায় পথ দেখাবে মা তোমারি ভগ্ন চুড়ি!
ভেঙে যমপুরী নাগিনীর মতো আয় মা পাতাল ফুঁড়ি!
.
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখিত কয়েকটি লাইনে নারী জাতির অসাধারণ কর্মযজ্ঞকে স্বীকৃতির সাথে সাথে তাদের সম্মানসূচক বাণীও ফুটে উঠেছে।গেয়েছে নারী জয়গান,সাফল্য আর আবদান।
.
আজ অতিবাহিত হল গলা ভারী সুরে বিশ্বব্যাপী নারী দিবসের ব্যস্ততম দিন।দিনটি ছিল লৌকিকতার ধারে,ডামাডোল ফাটিয়ে নারী জাতির অবস্থা,কাজ,নিরাপত্তা ও নেতৃত্বদানের ব্যাপরে কথার ফুলঝুরি আর নামমাত্র শ্রদ্ধা ও সম্মানের ধারা বর্ণনার মিনতি।
আসলেই কি নারী দিবস উদযাপন সফল??? উত্তর একটাই কখনো নয়!!যদি সফল হত তাহলে বিগত সালই তার প্রমাণ দিত। নারীরা এগিয়ে গেলেও তাদরে উপর নির্যান কিংবা নিপীড়ন না কমে বরং বেড়ে চলেছে লাগামহীনভাবে।সুযোগ পেলে কিংবা জোরপূর্বক নির্যাতিত হচ্ছে কতিপয় হায়েনার ছোবলে। লাশ ভাসছে জনতার মিছিলে।
.
দিবসকে যদি সত্যিকারার্থে সফল করতে চাই তাহলে নারীদের প্রত্যেক স্তরে স্ব স্ব অবস্থানে মূল্যায়ন করতে হবে।মূল্যায়ন করতে হবে মা-বোন,খালা,ফুপু,ভাগ্নি,ভাইস্তিদের মত আমার দেশের ছিন্নমূল নারী, কাজের খালা (বুয়া),গৃহকর্মী,গার্মেন্টস কর্মী,সকল ছাত্রী,শিক্ষিকা আর নেত্রী মহোদয়দের। তারা যদি সকল স্থানে সকল অবস্থায় নিরাপদ, নির্ভয়ে দিনাতিপাত না করতে পারে তাহলে নারী দিবস আসলেই বৃথা!!!
.
আমরা কি শপথ নিয়েছি নারী নির্যাতন,খুন,ধর্ষণ,পাচারকরণ,উত্যক্তকরণ বন্ধ করার??অপরাধিদের ছাড় না দেওয়ার?? যদি উত্তর আসে না,তাহলে নারী দিবস কার্যত ই ব্যর্থ!!!
.আর বর্তমানে নারীরা মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তী,কোম্পানী,হাসপাতালে অভ্যর্থনারর্থী সহ সকল স্থানে নিজেদের পণ্য বানানোর হিড়িক পড়ছে। কেন ভাই! এ সকল দৃশ্যমান ক্ষেতে কি পুরুষ বা ছেলেদের দিয়ে কাজ করা যায় না? পত্র-পত্রিকায় মেয়েদের ছবি না দিয়ে ছেলেদের ছবি দেয়া যায় না? এভাবে আর কতদিন নারীরা পণ্য হিসেবে ব্যবহার হবে পাঞ্জেরী?? অনতিবিলম্বে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
তাছাড়া এগুলোর পাশাপাশি পাতলা,টাইটপ্যান্ট,টিশার্ট পড়ে আর অবাধমেলামেশা এবং উৎশৃংখল চলাফেরার মাধ্যমে নিজের সম্মান বিকিয়ে দিয়ে কথিত দিবসের জয়ঢাঁকে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তাও বন্ধ করতে হবে নতুবা সবই বৃথা!
হুজুরদের স্ত্রী -কন্যাদের মত তাদের উাদাহরণ বাতুলতার নামান্তর। যাদের কখনো কোন সমস্যায় পড়তে দেখছি না। তাদের মহ না হলেও অন্তত শালীনতায় ফিরে আসতে হবে। বাড়াতে হবে ধর্মীয় অনুশাসন। তাহেলেই কেবল শৃংখলাবদ্ধ জীবনের হাতছানি দেবে,নিশ্চিত হেব আমির-ফকির সহ সকলের সুষম অধিকার!!
ইসলাম এবং সুসভ্য মহল এটা বলে না যে,নারীরা শুধু ঘরে আবদ্ধ থেকে সংসারী হবে বরং তাকে জীবিকা কিংবা নিত্য এবং জরুরি প্রয়োজনে ক্ষেত-খামারে কাজ,চাকরি এমনকি বাজার করবে,তবে তা হবে শালিনতার সহিত,আদর্শের মূর্ত প্রতীক হয়ে। কিন্তু খোলামেলা আর বেহায়াপনার কারণে আজ তারা পদে পদে হয়রানির শিকার! যা সত্যিই দুঃনীয়।
.
"তবুও স্প্ন দেখি সুন্দর বসুধার!!
সুন্দর বিশ্ব গড়ার পত্যাশায়"
আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির
বিএসএস (অনার্স) ৩য় বর্ষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা
No comments
Thanks for comment